আপনার বয়স কত ? কতদিন ধরে আপনার এই সমস্যা হচ্ছে ? আপনার কি এলার্জির সমস্যা আছে ? আপনার অন্য কোন ধরনের সমস্যা হয় - হাঁচি, ঘন ঘন সর্দি লাগা, নাক চুলকানো, নাক দিয়ে পানি পড়া বা নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া, কারো কারো চোখ দিয়েও পানি পড়া এবং চোখ লাল হয়ে যাওয়া, চুলকানি , কাশি ইত্যাদি ? আমাদের জানান। আপনার এলার্জির সমস্যা থাকলে , গলা চুলকানো এবং সাথে উপরের এক বা একাধিক লক্ষন থাকতে পারে।এই চুলকানি হাঁচি, সর্দি,কাশি উপসর্গ মাত্র। এসব কিছুই এলার্জি সংক্রান্ত রোগ। আবার সব হাঁচি যে এলার্জি সংক্রান্ত তা-ও নয়। এ সময় সকালের দিকে অনেক হাঁচি হতে পারে। নাক দিয়ে হঠাৎ করে পানি পড়ে এবং কাশি হয়ে থাকে। অনেকের ত্বকে অযথাই চুলকানি শুরু হয়। এই এলার্জি যখন নাকে যায় তখন নাকের ঝিল্লির ওপর বসে প্রতিক্রিয়া শুরু করে তখন হাঁচি শুরু হয়। যখন গলায় যায় তখন কাশি হয় এবং যখন ত্বকে এলার্জি হয় তখন এটি চুলকানি আকারে প্রকাশ পায়।এলার্জি থাকে সাধারনত নতুন খাবার , ধোঁয়া, ধুলা, ফুলের রেনু, গরম ইত্যাদি। এটা জানা জরুরি যে আপনার কি কারণে এলার্জি হচ্ছে? না হলে এর ফলে যে সমস্যা হচ্ছে তা বন্ধ করা মুশকিল। এর জন্য কিছু সাধারণ নিয়ম কানুন মেনে চলতে হবে, যেমন ঃ- খুব গরম বা প্রচন্ড ঠান্ডা বাতাস এড়িয়ে যাবেন ,- কোনো খাবার বা নতুন কোনো খাবার খেলে যদি চুলকানি হয় তা লক্ষ্য করা জরুরি এবং সেই খাবার এড়িয়ে চলতে হবে. যেমন - সামুদ্রিক মাছ , চিঙড়ি , বাদাম, গরুর মাংস , ডিম- ধুলো ,সিগারেট-মশার কয়েলের ধোয়া এড়িয়ে যাবেন, - সুতি পোশাক পড়বেন , ঘেমে গেলে দ্রুত কাপড় বদলে ফেলুন,- ছাতা এবং হাতপাখা সব সময় সাথে রাখবেন এবং ব্যবহার করবেন ,- সম্ভব হলে শরীর এর তাপমাত্রা র পানি দিয়ে নিয়মিত গোসল করে চুল শুকিয়ে তারপর বাধবেন। মাথায় তেল মেখে রাখা ও ঠিকনা। - ধুলাবালি, এর জন্য মাস্ক ব্যবহার করা।- ঘরের দরজা-জানালা সব সময় বন্ধ না রেখে মুক্ত ও নির্মল বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা রাখা।- তাজা, পুষ্টিকর এবং ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাদ্য গ্রহণ এবং পর্যাপ্ত পানি পান করা, যা দেহকে সতেজ রাখবে এবং রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করবে।- হাত ধোয়ার অভ্যাস করা। বিশেষ করে চোখ বা নাক মোছার পরপর হাত ধোয়া।- নাক কচলানো এবং নাক খোটা একদম নিষেধ , এসব এর পরেও সমস্যা থাকতে পারে , সেক্ষেত্রে একজন মেডিসিন বিশেষজ্ঞের সাথে পরামর্শ করে এলার্জির ওষুধ খাবেন।
প্রশ্ন করুন আপনিও