গ্রাহক,আপনার বিষয়টি আমার সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।গ্রাহকআপনার কথা থেকে বুঝতে পারছি যে আপনি স্ট্রেস বা মানসিক চাপ অনুভব করেনমানসিক চাপ থেকে হতাসা দুশিন্তা ইত্যাদি তৈরি হতে পারেআপনি কি কোন বিষয়গুলো নিয়ে স্ট্রেস অনুভব করছেন?কি নিয়ে রাগ হচ্ছে দুশিন্তা হচ্ছে বলা যায় কি?আপনি নিজের অনুভুতির ব্যাপারে সচেতন যা খুবই ইতিবাচক। রোজকারজীবনে প্রতিনিয়ত চলতে থাকা হাজারো চাপ আসতে পারে, রোজকার জীবনে চাপ নেই,এমন ব্যক্তি আজকের পৃথিবীতে বিরল।স্ট্রেস কথাটি আজকাল প্রায় সব ক্ষেত্রেইবহুল-ব্যবহৃত (আর কিছুক্ষেত্রে অতিরিক্ত ও ভুলভাবে ব্যবহৃত) হলেওস্ট্রেস-কে শব্দের মাধ্যমে ব্যাখ্যা করা একটু হলেও কঠিন কাজ। আমাদেরঅবশ্যই মনে রাখা দরকার, রোজকার কাজের চাপ আর স্ট্রেস আলাদা — বিজ্ঞানেরদৃষ্টিতে রোজকার টুকিটাকি চাপকে কিন্তু স্ট্রেস বলে না। কোনো চাপকেস্ট্রেস হিসেবে গণ্য করতে হলে সেটা একটা মাত্রা ছাড়াতে হয়। যে মাত্রায়পোছলে দৈনন্দিন কাজে ব্যাখ্যাত ঘটে মানসিক অশান্তি তৈরি হয়, একটু চাপ যাআপনার কাজের গতিকে বারায় কিন্তু স্বাভাবিক জিবন যাপনকে ব্যাঘাত ঘটায় নাসেটা ক্ষতিকারক নয়।যদি স্ট্রেস বেশি অনুভব হয় তাহলে আপনি কিছু বিষয় মেনেচলতে পারেন১ মেডিটেশন, যোগব্যায়াম করা এতে মানসিক প্রশান্তি আসবেমস্তিস্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।২ নিজের প্রিয় আপন মানুষ, বন্ধুদেরসাথে মনের কথা গুলো শেয়ার করা।৩ প্রাণ খুলে হাসার চেষ্টা করা, বন্ধুদেরসাথে সময় কাটানো, ৪গান শোনা, প্রভৃতির মাধ্যমে মনরিলাক্স হবে, চাপ কিছুটা হলেও কমবে।রাগ মানুষ এর বেসিক ইমোশন। সবারই রাগ আছে। তাই রাগ হওয়া মানুষ এর খুবই সাধারণ ন্যাচার।তবে রাগকে কিভাবে প্রকাশ করা হচ্ছে সেটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। কখন আপনার রাগ বেশি হয়?রাগ কে পজিটিভ ভাবে প্রকাশ পজিটিভ ভাবে বলতে বুঝায় অন্যের কোনো ক্ষতি না করে বা নিজের কোনো ক্ষতি না করে রাগ কে প্রকাশ করা।রাগ প্রকাশ করার জন্য সর্বপ্রথম কোন কোন ক্ষেত্রে আপনার রাগ হয় সেটা চিহ্নিত করার চেষ্টা করুন।রাগের ফলে কি অনুভূতি হচ্ছে সেটা বুঝার চেষ্টা করুন।রাগ হলে কিছু সময় নিন সেই স্থান টা থেকে বেরিয়ে যেতে পারেন এ সময়ে ১-১০ পর্যন্ত গুনতে পারেন।এরপর আপনার যা বলার তা প্রকাশ করতে পারেন।গ্রাহক যদি সম্ভব হয় তাহলে তার সাথে কথা বলতে পারেন।ঠান্ডা মাথায় জানতে চাইতে পারেন যে তিনি কি কারনে এমন করছেন র কি চান।তাকে ভদ্রভাবে বুঝিয়ে বলতে পারেন এতে আপনার কি অসুবিধা হচ্ছে, আপনি কেমন বোধ করছেন আর কি হলে আপনার ভালো লাগবে। এই ভাবে কারো সাথে যোগাযোগের মাধ্যমে বড় বড় ঘটনাও কোন রকম বিবাদ ছাড়াই মিটানো সম্ভব। এছাড়া আপনি ব্যাপারটি বিশ্বস্ত কারো সাথে শেয়ার করতে পারেন,তাতে আপনার মন হালকা লাগবে।আশা করি আপনাকে কিছুটা হলেও সাহায্যকরতে পেরেছি আর কিছু জানার থাকলে মায়া আপাকে বলবেন,আপনার পাশে রয়েছে,মায়া
প্রশ্ন করুন আপনিও