গ্রাহক, আপনার প্রশ্নের জন্য ধন্যবাদ। জ্বর সাধারণত শরীরে কোন ইনফেকশনের কারনে হয়ে থাকে। সেটা ব্যাকটেরিয়া কিংবা ভাইরাস এর কারণে হয়। এক্ষেত্রে জ্বরের ধরন, মাত্রা, অন্যান্য উপসর্গ(যেমন:শরীর ব্যথা, বমি ভাব, পেট ব্যথা, ডায়রিয়া, সর্দি, কাশি, বুকে ব্যথা), রোগীর বয়স, অন্য কোন শরীরিক সমস্যা (যেমন: হাইপারটেনশন, ডায়াবেটিস, কিডনি সমস্যা) আছে কিনা এগুলো জানতে হয় এবং সেই অনুযায়ী সম্ভাব্য কারন বিবেচনা করে ডাক্তার চিকিতসা দিয়ে থাকেন। জ্বরের জন্য নিয়মিত তাপমাত্রা পরিমাপ করে বয়স অনুযায়ী নির্দিষ্ট ডোজে প্যারাসিটামল ওষুধ নিতে হবে। জ্বরের মাত্রা বেশি হলে সাপোজিটরি ব্যবহার করতে হবে। জ্বর হলে প্রাথমিকভাবে স্পঞ্জিং করা উচিত। অনেক ক্ষেত্রেই পুরো শরীর ভেজা নরম কাপড় বা তোয়ালে দিয়ে একটানা কয়েকবার আলতো করে মুছে দিলে শরীরের তাপমাত্রা কমে যায় এবং খুব ভালো বোধ করে জ্বরের সময় যতটা সম্ভব বিশ্রামে থাকতে পারলে ভালো।চেষ্টা করতে হবে প্রতিদিন ভোরে ১০-১৫ মিনিট রোদ এর মধ্যে দাঁড়াতে. স্বাভাবিক খাবারের পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণে পানি খেতে হবে এছাড়াও লেবুর রস মুখে রুচি আনতে সাহায্য করে তাই লেবু বা লেবুর শরবত খাওয়া যেতে পারে। ফলের মধ্যে আনারস, কমলা, পেয়ারা বা আমলকি জাতীয় খাবার খাওয়া যেতে পারে। ভিটামিন সি যুক্ত খাবার, পুষ্টিকর খাবার গ্রহন করতে হবে যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াবে। ঠাণ্ডা জাতীয় খাবার যেমন- আইসক্রিম, ফ্রিজের পানি, কোল্ড ড্রিঙ্কস একেবারেই পরিহার করতে হবে। কুসুম গরম পানিতে মধু মিশিয়ে খেলে উপকৃত হবেন। কাশি হলে কুসুম গরম পানিতে সামান্য লবন মিশিয়ে দিনে ২-৩ বার গড়গড়া করবেন। এছাড়াও আদা চা, লেবু চা এগুলো গ্রহন করতে পারেন। জ্বরের সাথে কারো যদি অন্য উপসর্গ থাকে যেমন- শ্বাস কষ্ট, গলাব্যাথা, কাশি, নাকের ঘ্রাণ শক্তি কমে যাওয়া, অরুচি, দুর্বলতা তবে অবশ্যই ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে নিতে হবে ওষুধ ও পরবর্তী পরীক্ষা নিরীক্ষার দিক-নির্দেশনার জন্য। কারণ এখন পৃথিবীব্যাপী কোভিড ১৯ এর মহামারী চলছে এবং এসব উপসর্গ এই ভাইরাস এ আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে দেখা দেয়, এসকল ক্ষেত্রে রোগীকে অবশ্যই যথাযথ দূরত্বে রেখে, প্রয়োজনীয় সতর্কতা মেনে সেবা দিতে হবে। রোগীকে বিশেষ সতর্কতা স্বাস্থ্য বিধি যেমন- মাস্ক পড়া, নিরাপদ দূরত্বে বা আলাদা থাকা, বারে বারে হাত সাবান দিয়ে ধোয়া বা স্যানিটাইজ করা, ব্যবহার করা জিনিসপত্র আলাদা রাখা ইত্যাদি মেনে চলতে হবে। উপসর্গ তীব্র হলে অবশ্যই হাসপাতালে বা ডাক্তারের সাথে দ্রুত যোগাযোগ করতে হবে।
প্রশ্ন করুন আপনিও